বঙ্গোপসাগর সাক্ষরতা কী?
আপনার ওপর বঙ্গোপসাগরের কী আছর, আর বঙ্গোপসাগরের ওপর আপনার কী আছর, সেই বোঝাপড়া-ই বঙ্গোপসাগর বিষয়ে আপনার সাক্ষরতা।
দুনিয়ার বিরাট দরিয়ামন্ডলের অংশ আমাদের বঙ্গোপসাগর। দুনিয়ার দরিয়ার ব্যাপারে সাক্ষরতার যেইসব অবশ্য-দরকারি নীতি ও মৌলিক ধারণা আর্ন্তজাতিকভাবে স্বীকৃত, ওগুলার ওপর ভিত্তি করেই স্থানীয়ভাবে বঙ্গোপসাগর বিষয়ে সাক্ষরতার এই নীতি ও ধারনাগুলা তৈরি করা হয়েছে।
একজন বঙ্গোপসাগর-সাক্ষর লোক:
- বঙ্গোপসাগরের চরিত্র কী, এই উপসাগর কীভাবে কী করে, দুনিয়ায় ও আমাদের জীবনে এর মূল্যই বা কী, সেইসব ব্যাপারে সবার যা জানা দরকার, ওই অবশ্য-দরকারি নীতি ও মৌলিক ধারনাগুলা বোঝেন;
- বঙ্গোপসাগর ও বেসিন এলাকাগুলার ব্যাপারে অন্যদের সহজে বুঝাইতে পারেন; এবং
- বঙ্গোপসাগর ও বেসিন এলাকাগুলার ব্যাপারে জেনেশুনে দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
এই অবশ্য দরকারি নীতি ও মৌলিক ধারনাগুলা যেসব বিষয়ের রূপরেখা দেয় ওগুলা জ্ঞানের কোনো একটা শাখার (যেমন, জলবায়ুবিদ্যা) মধ্যে সীমাবদ্ধ না। যার ফলে, এখানে একটা মৌলিক ধারনা একটার বেশি অবশ্য-দরকারি নীতি ব্যাখ্যা করতে পারে। বঙ্গোপসাগর বিষয়ে দরিয়া সম্পর্কিত বিজ্ঞানের সব শাখার শিক্ষা দেয়া ও গণযোগাযোগের ক্ষেত্রে এই অবশ্য-দরকারি নীতি ও মৌলিক ধারনাগুলা সমন্বয়, সামঞ্জস্য, সঙ্গতি আনতে ভূমিকা রাখবে।
বঙ্গোপসাগর-সাক্ষরতার উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, শ্রি লংকা, থাইল্যান্ড, মালেয়শিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ও মালদ্বীপে সমুদ্র-সাক্ষর সমাজ গড়ে তোলা।
হালনাগাদ: জুন ৩০, ২০১৯