৭. বঙ্গোপসাগরের অনেক অনেক ব্যাপারই এখনো অজানা
মৌলিক ধারনাগুলা
ক. বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে বিচিত্র ইকোসিস্টেমগুলা ও লোকেদের মধ্যে পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া এবং যোগসূত্রের ব্যাপারে অনুসন্ধান ও বোঝাপড়ামূলক কাজের পরিমাণ ও মাত্রা খুবই কম। এই ধরণের অনুসন্ধান নতুন তথ্য-তালাশের দারুণ সুযোগ এনে দিতে পারে।
খ. বঙ্গোপসাগরকে বুঝতে পারা স্রেফ একট কৌতূহলের মামলা নয়, তার চেয়ে অনেক বেশি কিছু। তথ্য-তালাশ, তদন্ত ও পর্যবেক্ষণের ফলে বঙ্গোপসাগরের ইকোসিস্টেম, সম্পদ, ও প্রাকৃতিক-সামাজিক প্রক্রিয়াগুলার আরো ভালো বোঝাপড়া ও সুরক্ষার প্রসার ঘটবে।
গ. বঙ্গোপসাগরে সম্পদ ব্যবহারের মাত্রা ও ধরন বিগত সময়ে তাৎপর্যপূর্ণভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। উপসাগরে সম্পদ ভবিষ্যতে টেকসই হবে কি না, তা নির্ভর করছে ওইসব সম্পদ এবং তাদের সম্ভাবনা ও সীমাবদ্ধতার ব্যাপারে আমাদের বোঝাপড়ার ওপর।
ঘ. বঙ্গোপসাগরে তথ্য-তালাশিতে বেরোতে আমাদের সামর্থ্য বাড়াতে নানা প্রযুক্তি ও পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে, তাতে করে এমন সব তথ্য বেরিয়ে আসবে যা উপকূলীয় সমাজের নেতা ও নীতি-নির্ধারকদের কাজে লাগবে।
ঙ. বঙ্গোপসাগরের জটিল সব সামাজিক-প্রাকৃতিক সিস্টেম বুঝতে নানা সিমুলেশন-মডেল আমাদের সাহায্য করতে পারে। নানা পর্যবেক্ষণকে প্রক্রিয়াভুক্ত, নানা সিস্টেমের মাধ্যমে পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়াগুলা বর্ণনা, তথ্যের ঘাটতি জনসমক্ষে আনা, এবং পরিবর্তনের পূর্বাভাস ইত্যাদি করতে পারে এই মডেলগুলা।
চ. বঙ্গোপসাগরের দরিয়ার বিরাট ইকোসিস্টেমের ব্যাপারে তথ্য-তালাশ করা, বোঝাপড়া তৈরি করা এবং সবাইকে জানানোর কাজটি জ্ঞানের নানা শাখার সম্মিলিত কাজ। এইসব কাজে দরকার বিজ্ঞান, গণযোগাযোগ, শিক্ষা, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিতসহ নানা জ্ঞানকান্ডের পেশাদার লোকদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ পারস্পরিক সহযোগিতা।
সংস্করণ: জানুয়ারি ২০১৯